Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে আনসার ও ভিডিপি বাহিনী

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন দেশের সর্ববৃহৎ একটি বাহিনী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ অনুসারে এটি একটি শৃঙ্খলা বাহিনী। এ বাহিনীর বর্তমান সদস্য সদস্যার সংখ্যা প্রায় ৬১ লক্ষ যাদের অধিকাংশই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং প্লাটুনভূক্ত স্বেচ্ছাসেবী। দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এর বিস্তৃতি। সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী দেশের প্রতিটি গ্রামে ১টি পুরুষ ও ১টি মহিলা প্লাটুন রয়েছে। প্রতিটি প্লাটুনের সদস্য-সদস্যা সংখ্যা ৩২জন। এ বাহিনীর রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার নিয়মিত ফোর্স যারা ৪২টি আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য। এ বাহিনীতে রয়েছে ২ লক্ষাধিক সাধারণ আনসার যাদের ৭০ হাজার বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং স্মার্টকার্ডধারী অঙ্গীভূত আনসার এবং অবিশিষ্ট যারা তারা উপজেলা কোম্পানী, প্লাটুন এবং ইউনিয়ন প্লাটুনের অন্তর্ভূক্ত স্বেচ্ছাসেবী। 'শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরপত্তায় সর্বত্র আমরা'- এ বাহিনীর মূলমন্ত্র। স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে মানব নিরাপত্তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা এ সদস্য সদস্যাদের অন্যতম লক্ষ্য। নিয়মিত ফোর্স হিসেবে আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যগণ দেশের পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সাথে এবং সমতলে সরকারের নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিরাপত্তায় এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে থাকে।


নামকরণ: 'আনসার' শব্দের অর্থ সাহায্যকারী বা স্বেচ্ছাসেবক। এটি আরবি শব্দ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিগণকে সাথে নিয়ে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর যে সকল মদিনাবাসী নবীজী (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীগণকে আশ্রয়দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাঁদেরকে বলা হত 'আনসার'। এ নামের অনুকরণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হয়। নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল অভিবাসীর আগমনের কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে সমাজের উদ্যোমী ও আগ্রহী নানান পেশা শ্রেনীর স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের নিয়ে এ বাহিনী গঠিত হয় এবং যার নামকরণ হয় মদিনার আনসার এর অনুকরণে।